একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বাংলাদেশের সীতাকুণ্ডর কনটেইনার ডিপো। আর বিস্ফোরণের কারণে গতকাল রাত ৯টা থেকে সেখানে আগুন ধরে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছয় দমকল। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের, আহত ১০০-রও বেশি মানুষ, এমনটাই জানাচ্ছে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম। এই ঘটনায় উদ্ধারকাজ চলছে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে।
ঠিক কী ঘটেছে?
জানা গিয়েছে, গতকাল রাত ৯টা নাগাদ সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টে আগুন লাগে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছয় দমকল বিভাগ। কিন্তু, এদিন রাত ১১টা নাগাদ ফের বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশকর্মী এবং দমকল বিভাগের কর্মীরাও গুরুতর আহত হন। আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এখনও এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ওপার বাংলার দমকল বিভাগের তরফে জানানো হচ্ছে, আগুন এক কনটেইনারের থেকে অন্য কনটেইনারে ছড়িয়ে পড়েছে। জলেরও সংকট রয়েছে। পাশাপাশি কেমিক্যালের আগুনের জন্যই সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিস্তর বেগ পেতে হচ্ছে। এই ডিপোতে কাজ করেন প্রায় ৬০০ জন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু মানুষ। ৬০ থেকে ৯০ জনের দেহের ২০ শতাংশ আগুনে পুড়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ডিপোর ডিরেক্টর মুজিবুর রহমান জানাচ্ছেন, ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে সেই বিষয়টি নিয়ে এখনও তাঁরা অন্ধকারে।
প্রায় ৩০ একর জায়গা জুড়ে এই ডিপোটি অবস্থান করছে। সেখানে হাইড্রোজেন পারআক্সাইডের মতো দাহ্য কেমিক্যাল রয়েছে। এর দরুন আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকছে। ঘটনার পর প্রায় ১২ ঘণ্টা কেটে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি এই আগুন। ভেতরে আটক থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সেখানে আরও দমকল বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। ব্যবস্থা করা হচ্ছে জলেরও। এই আগুন যাতে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে সেই যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
Tags:
News