পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত সমান। প্রতি বছর অর্থাৎ ৩৬৫ দিনের মধ্যে দুটি দিন পৃথিবীর দিন ও রাতের ব্যাপ্তি সমান হয়ে থাকে। এর একটি দিন হলো ২১ মার্চ এবং অন্যটি ২৩ সেপ্টেম্বর।
২৩ সেপ্টেম্বর সূর্য উত্তর আর দক্ষিণ অয়নান্তের মাঝামাঝি ঠিক বিষুব রেখা বরাবর কিরণ দেবে। সেই হিসেবে আজ পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত সমান।
এরপর ২০ মার্চ সূর্য তার দক্ষিণ গোলার্ধের অবস্থান শেষ করে উত্তর গোলার্ধের দিকে যাত্রাকালে রাতের শেষের দিকে বিষুবরেখার উপর অবস্থান নেয়। তাই পরদিন অর্থাৎ ২১ মার্চ পৃথিবীর উভয় গোলার্ধের দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য সমান হয়।
তাইতো সেপ্টেম্বর ইকুইনক্সকে বছরের দ্বিতীয় ইকুইনক্স বলে। প্রথম ইকুইনক্স ঘটে থাকে ২১ মার্চ। এটা গ্রীষ্ম বিদায়ের ইকুইনক্সও বলা হয়।
কেন এমন ঘটে?
সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর মেরু রেখা ধ্রুবতারামুখী হয়ে কক্ষপথের সাথে সব সময় ৬৬.৫ ডিগ্রি কোণ করে হেলে থাকে। আবার নিরক্ষ রেখা বা বিষূব রেখার সমতল কক্ষপথের সাথে ২৩.৫ ডিগ্রি কোণে হেলে থাকে। এ কারণে প্রতি বছর ২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত সমান হয়ে থাকে। এই সময় পৃথিবীর দুই গোলার্ধেই দিনের বেলা ১২ ঘণ্টা করে আলো পায় এবং রাতের বেলা ১২ ঘণ্টা করে অন্ধকারে থাকে।
২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর নিরক্ষ রেখায় সূর্যের আলো ৯০ ডিগ্রি কোণে এবং সুমেরু ও কুমেরু বৃত্তে ৬৬.৫ ডিগ্রি কোণে আপতিত হয়। ২১ মার্চের পর ২১ জুন পৃথিবীর উত্তর মেরু সবচেয়ে বেশি সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে। তখন উত্তর মেরুতে ২১ জুন দিন সবচেয়ে বড় হয়ে থাকে। একই সময়ে দক্ষিণ মেরু সূর্য থেকে সব চেয়ে দূরে সরে যায়। ফলে এ দিন দক্ষিণ মেরুতে সবচেয়ে ছোট দিন। আবার ২১ ডিসেম্বর উত্তর গোলার্ধে দিন সবচেয়ে ছোট হয় এবং দক্ষিণ গোলার্ধে রাত সবচেয়ে বড় থাকে।
সেপ্টেম্বর ইকুইনক্সের সময় দুই মেরুতেই রাতের বেলা নানা রঙের আলোর ঝলকানি দেখা যায়।
Tags:
News