বর্তমান সরকার রাজ্যের ইতিহাসকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। একইভাবে রাজ্যের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় উজ্জয়ন্ত প্রাসাদে লাইট এন্ড সাউন্ড শোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, রাজ্যের ঐতিহাসিক স্থানগুলিকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে যাতে দেশ বিদেশের পর্যটকরা এখানে এসে ত্রিপুরা সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা নিয়ে ফিরতে পারেন। লাইট এন্ড সাউন্ড শো-কে ঐতিহাসিক হিসেবে আখ্যায়িত তিনি বলেন, এই শো-এ রাজ্যের গৌরবময় অতীত তুলে ধরা হচ্ছে। জি-২০ শীর্ষক সম্মেলনের আয়োজনের উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগণ এই সম্মেলনে যোগ দিতে রাজ্যে আসছেন। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের আয়োজন করা রাজ্যবাসীর পক্ষে এক বিরাট ঘটনা বলে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আন্তরিক প্রচেষ্টায় ত্রিপুরার মতো ছোট রাজ্যও এই আন্তর্জাতিক মানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করার দায়িত্ব পেয়েছে। গত বছরের আগষ্ট মাস থেকেই এজন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সারা পৃথিবীর কাছে ভারতের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে তুলে ধরা। পর্যটনকে আরও বিকশিত করাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য। অনুষ্ঠানে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, আগামী দিনে আগরতলাকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে একটি অত্যাধুনিক শহর হিসেবে কিভাবে গড়ে তোলা যায় সেই লক্ষ্যে রাজ্য সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে ত্রিপুরা এগিয়ে যেতে চাইছে। রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। রাজ্যের রাজধানী আগরতলাকে উৎকৃষ্ট পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, যেসমস্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে সেগুলিকে রক্ষা করার দায়িত্ব সবার। স্বাগত ভাষণে আগরতলা স্মার্ট সিটির সিইও ডা. শৈলেশ কুমার যাদব বলেন, আজ যে প্রকল্পটি উদ্বোধন হয়েছে তার কাজ 2022 সালের জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়েছিল। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের স্বদেশ দর্শন প্রকল্পে গড়ে উঠা লাইট এন্ড সাউন্ড শো কর্মসূচির জন্য ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। ৩০ মিনিটের লাইট এন্ড সাউন্ড শো প্রোগ্রামে রাজ্যের ইতিহাসকে তুলে ধরা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা, মুখ্যমন্ত্রী পত্নী স্বপ্না সাহা, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত, মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, নগরউন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, পর্যটন দপ্তরের সচিব ইউ কে চাকমা প্রমুখ।