সম্প্রতি টলিউডে মহাভারত তৈরী ঘোষণা করেছেন সুপারস্টার দেব । ছবির নাম ‘দ্রৌপদী'। যেখানে দ্রৌপদী চরিত্রে দেখা যাবে রুক্মিণী মৈত্রকে । খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই হইচই পরে গিয়েছে নেটপাড়ায়। তবে সত্যিই যদি ‘মহাভারত’ তৈরী হত? টলিউডের স্বর্নযুগ অর্থাৎ উত্তম সময়ে মহাভারত হলে কাদের দেখা যেত কৃষ্ণ, যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, দূর্যোধন তথা দ্রৌপদী চরিত্রে? এবার এই অসম্ভব প্রশ্নের উত্তরকে সম্ভব করে দেখালো AI প্রযুক্তি।
পরিচালক অনিকেত মিত্র নিজের কল্পনায় মহানায়ক উত্তম কুমারকে অর্জুন হিসাবে বেছে নিয়েছেন। এরপর ভীষ্ম হিসেবে ছবি বিশ্বাসকে । দূর্যোধন এর চরিত্রে কল্পনা করা হয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় -কে। আর শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রে কল্পনা করেছেন শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়-কে।
যদিও উত্তম কুমারের সাথে AI এর দ্বারা তৈরী ছবির খুব একটা সাদৃশ্য খুঁজে পাননি নেটিজেনদের অনেকেই। তবে এমন একটা চিন্তা যে বেশ অভিনব তা জানিয়ে প্রশংসা করেছেন অনেকেই। অবশ্য এখানেই শেষ নয়! অনেকেই হয়তো ভেবেছিলেন দ্রৌপদী হিসাবে সুচিত্রা সেনকে দেখা যাবে, কিন্তু তা একেবারেই হয়নি। পরিচালক মাধবী মুখোপাধ্যায়কে কল্পনা করেছেন দ্রৌপদীর চরিত্রে।
যুধিষ্ঠির হিসাবে কল্পনা করা হয়েছে অভিনেতা বিকাশ রায়কে। অন্যদিকে অশ্বত্থামা চরিত্রে দেখা যাচ্ছে কিশোর কুমারকে। আর চিত্রাঙ্গদা রূপে কল্পনা করা হয়েছে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনকে। বাদ পড়েননি উৎপল দত্ত, সন্তোষ দত্তরাও। উৎপল দত্তকে কল্পনা করা হয়েছে ধৃতরাষ্ট্র চরিত্রে, আর সন্ডোষ দত্তকে দেখা যাচ্ছে শকুনি মামা চরিত্রে।
দেবী গঙ্গা হিসাবে সাজানো হয়েছে শর্মিলা ঠাকুরকে। অন্যদিকে একলব্য হয়ে উঠেছেন বিখ্যাত অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। মহাভারতের কর্ণ হিসেবে কল্পিত হয়েছেন সমিত ভঞ্জ। অভিমুন্য রূপে তুলে ধরা হয়েছে ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়কে। সবশেষে সত্যবতী ও কুন্তী চরিত্রে কল্পিত হয়েছেন সুপ্রিয়া দেবী আর ছায়া দেবী।
এবার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে হটাৎ কেন এমন ভাবনা? আসলে অনিকেতের মতে, সত্যজিৎ রায়ের এক সাক্ষাৎকারে তিনি পড়েছিলেন মহাভারতের পাশা খেলার অংশ নিয়ে সিনেমা বানাতে চেয়েছিলেন তিনি (সত্যজিৎ রায়)। সেই থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়ে এই ‘মহাভারত’ এর চরিত্রদের কল্পনা। কল্পনার এই মহাভারতকে ‘ডাইস অফ ডেসটিনি’ বলে নামকরণ করেছেন পরিচালক।