শারদীয়া দুর্গোৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হলো হিন্দুদের অসীম আনন্দযজ্ঞের একপ্রস্থ। শ্রেষ্ঠ পার্বণে মানুষকে আনন্দ দিতে এবং পুজোকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে যে সমস্ত ক্লাব এবং বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের ভূমিকা সবচাইতে বেশি তাদের সংবর্ধনা প্রদান করলেন পাবিয়াছড়া বিধানসভার বিধায়ক ভগবান চন্দ্ৰ দাস । পাবিয়াছড়া বিধানসভার বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাসের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো এলাকায় অনুষ্ঠিত হলো এই ধরনের শারদ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার কুমারঘাটের মানসী মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস। উপস্থিত ছিলেন কুমারঘাট পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পবন পাল, ডিসিএম অভিজিৎ দাস, কুমারঘাট থানার ওসি শংকর সাহা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পাবিয়াছড়া বিধানসভা এলাকার ৫২টি পুজো কমিটি সহ বিদ্যুৎ নিগম, আরক্ষা দপ্তর, স্বাস্থ্য দপ্তর সহ জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত অন্যান্য সরকারী দপ্তরের পদস্থদের হাতে সম্মাননা পত্র এবং স্মারক তুলে দেন বিধায়ক।
আলোচনা করতে গিয়ে পুজো উদ্যোক্তা সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাজের প্রশংসা করেন বিধায়ক। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বলেন, কুমারঘাট শহরে পুজো দেখতে কুমারঘাট মহকুমা এলাকা ছাড়া কৈলাসহর, লংতরাইভ্যালি মহকুমা এবং ধর্মনগর থেকেও দর্শনার্থীরা আসে। এ বছর সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত রেকর্ড সংখ্যক দর্শনার্থীদের ভিড় হয় শহরে। কুমারঘাট এলাকার পুলিশ প্রশাসন থেকে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা পুজোর দিনগুলিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। কুমারঘাটে এই প্রথম কোনও বিধায়কের উদ্যোগে পাবিয়াছড়া বিধানসভার সব ক্লাব থেকে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীদের যারা পুজোতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজ করেছেন তাদের সম্মাননা দেওয়া হয়। পাবিয়াছড়া বিধানসভার বিধায়কের এই ধরনের উদ্যোগে পুজো কমিটি, প্রশাসনিক কর্মী থেকে সাধারণ জনগণ সাধুবাদ জানিয়েছেন ।