বৈদিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, এবছর মহাশিবরাত্রি উপবাস ব্রত ৮ মার্চ, শুক্রবার পালন করা হবে। এই বিশেষ ও শুদ্ধ দিনে শিবঠাকুরের আরাধনা করলে জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধির বন্যা শুরু হয় বলে মনে করা হয়। এছাড়াও অনেক ধরনের গ্রহ দোষও দূর হয়। শাস্ত্রে বলা হয়েছে মহাশিবরাত্রির দিনে শুভ সময়ে ভগবান শিবের আরাধনা করলে সব ধরনের মনস্কামনা পূর্ণ হয়।
বছরের শুরুতেই হিন্দুদের (Hinduism) সবচেয়ে বড় উত্সব পালিত হবে আগামী ৮ মার্চ। ভোলেবাবাকে খুশি করতে মহাশিবরাত্রির (Mahashivratri 2024) দিন চার প্রহরের পুজো ও উপবাস ব্রত পালন করেন শিবভক্তরা। সনাতন ধর্মে, মহাশিবরাত্রি উপবাসকে মহাদেবকে (Lord Shiva) উপাসনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। বৈদিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, এবছর মহাশিবরাত্রি উপবাস ব্রত ৮ মার্চ, শুক্রবার পালন করা হবে। এই বিশেষ ও শুদ্ধ দিনে শিবঠাকুরের আরাধনা করলে জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধির বন্যা শুরু হয় বলে মনে করা হয়। এছাড়াও অনেক ধরনের গ্রহ দোষও দূর হয়। শাস্ত্রে বলা হয়েছে মহাশিবরাত্রির দিনে শুভ সময়ে ভগবান শিবের আরাধনা করলে সব ধরনের মনস্কামনা পূর্ণ হয়। যারা চার প্রহরের উপবাস ও ব্রত পালন করে শিবলিঙ্গে জল ঢালেন, তাদের জন্য মহাশিবরাত্রি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি যারা প্রহর গুণে নয় এদিনের যেকোনও সময়েই শিবপুজো ও শিবলিঙ্গের মাথায় জল ঢালেন, তাদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বের। কারণ, এদিন জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধির কারণে বিশেষ কিছু যোগ তৈরি হতে চলেছে।
বৈদিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি শুরু হবে ৮ মার্চ রাত ৯টা ৫৭ মিনিট থেকে। শেষ হবে ৯ মার্চ সন্ধ্যে ৬টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। মহাশিবরাত্রির দিন, নিশিতা কালে নিয়ম মেনে মহাদেবের পুজো করা হয়ে থাকে। আর তাই সেই উপবাস পালিত হবে ৮ মার্চ, শুক্রবার। এদিন নিশিতা কাল পূজার শুভ মুহূর্ত পড়েছে দুপুর ১২টা ৭ মিনিট থেকে রাত ১২টা ৫৫ মিনিটের মধ্যে।
শাস্ত্রে বলা হয়েছে, মহাশিবরাত্রির দিন সাধারণত চার প্রহরে শিবের আরাধনা সম্পন্ন হয়। মহাশিবরাত্রির দিন প্রথম প্রহরের উপবাস ও পুজো শুরু হবে সন্ধ্যে ৬টা ২৫ মিনিটে, দ্বিতীয় প্রহরের পুজো ও উপবাস শুরু হবে রাত সাড়ে ৯টায়। এরপর তৃতীয় প্রহরের পুজো শুরু হবে রাত ১২টা ৩১ মিনিটে এবং শেষ ও চতুর্থ প্রহরের পূজা শুরু হবে ভোর ৩টা ৩৪ মিনিটে। মহাশিবরাত্রির ব্রত ও উপবাস সমাপ্ত হবে ভোর ৬টা ৩৫ মিনিটে। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, ৯ মার্চ সকাল ৬টা ৩৭ মিনিট থেকে দুপুর সাড়ে ৩টার মধ্যে মহাশিবরাত্রির উপবাস ভাঙতে পারেন শিবভক্তরা।
পঞ্চাঙ্গ মতে, মহাশিবরাত্রির দিনে শিব ও সিদ্ধ যোগ গঠিত হচ্ছে। শিবযোগ চলবে মধ্যরাত ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। তারপরে শুরু হবে সিদ্ধ যোগ। যেখানে মহাশিবরাত্রি উপবাস শ্রাবণ নক্ষত্রে পালন করা হবে, যা চলবে সকাল ১০টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত। এই পবিত্র ও বিশেষ দিনে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগও গঠিত হচ্ছে। মহাশিবরাত্রির দিনে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ চলবে সকাল ৬টা ৩৮ মিনিট থেকে ১০টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত।
মহাশিবরাত্রির দিন মহাদেব ও পার্বতীর আরাধনা করারও পরীতি রয়েছে। বৈদিক ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে এদিনে মহাদেব ও পার্বতী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই বিশেষ দিনে শিব-পার্বতীর আরাধনা করলে সমস্ত সিদ্ধিলাভ হয়। কেটে যায় জীবনের সমস্ত সমস্যা। পাশাপাশি এদিনে শুদ্ধচিত্তে পুজো ও উপবাস রাখলে দাম্পত্য জীবনেও সুখ-সমৃদ্ধি বয়ে আসে।
Tags:
News