|
ডানাকিল ডিপ্রেশন, ইথিওপিয়া: “নরকের দ্বার”
বিজ্ঞাপন যেকোনো প্রকার গাড়ীর ইন্সুরেন্স এর জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের ঠিকানা : SHUBHIT COMMUNICATION পুরাতন শিব থলি রোড, কুমারঘাট ঊনকোটি ত্রিপুরা WHATSAPP - 9774830971 এই নাম্বারে।

ডানাকিল ডিপ্রেশন, ইথিওপিয়া: “নরকের দ্বার”


ডানাকিল ডিপ্রেশন, ইথিওপিয়া: “নরকের দ্বার”

পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় ও ভয়ংকর জায়গাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ইথিওপিয়ার ডানাকিল ডিপ্রেশন। এই স্থানটিকে অনেকে "নরকের দ্বার" বা "Gateway to Hell" বলে থাকেন। এর কারণ হলো এখানে রয়েছে জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি, ফুটন্ত লাভার হ্রদ, রঙিন অ্যাসিডিক ঝর্ণা, বিস্তৃত লবণের ক্ষেত্র এবং অসহনীয় উচ্চ তাপমাত্রা — যা পৃথিবীর আর কোনো স্থানে একসাথে দেখা যায় না।

ভূ-প্রাকৃতিক বিস্ময়

ডানাকিল ডিপ্রেশন ইথিওপিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত, আফার অঞ্চলের অন্তর্গত। এটি আফার ট্রায়াঙ্গলের অংশ, যেখানে আফ্রিকার তিনটি টেকটোনিক প্লেট—আফ্রিকান, আরাবিয়ান ও সোমালিয়ান—ধীরে ধীরে একে অপর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এই ভৌগোলিক পরিবর্তনের ফলেই সৃষ্টি হয়েছে এই অতিমাত্রায় সক্রিয় এবং বিচিত্র ভূ-প্রকৃতি।

রঙিন অ্যাসিড স্প্রিং ও লবণাক্ত হ্রদ

ডানাকিলে আপনি দেখতে পাবেন বিষাক্ত গ্যাসে পূর্ণ রঙিন উষ্ণ প্রস্রবণ। এখানকার পানি এতটাই অ্যাসিডিক যে ত্বকের সংস্পর্শে এলে তা বিপজ্জনক হতে পারে। এই ঝর্ণাগুলোর রং সবুজ, হলুদ, কমলা কিংবা বেগুনি, যা বিভিন্ন খনিজ পদার্থের উপস্থিতির কারণে তৈরি হয়েছে।
এছাড়াও এখানে রয়েছে বিস্তৃত লবণক্ষেত্র, যেখানে স্থানীয় আফার জনগোষ্ঠী আজও ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে লবণ উত্তোলন করে উটের কাফেলায় করে বাজারে নিয়ে যান।

এর্তা আলে: লাভার হ্রদের আগ্নেয়গিরি

ডানাকিলের সবচেয়ে আলোচিত স্থান হলো এর্তা আলে আগ্নেয়গিরি। এটি বিশ্বের অন্যতম কয়েকটি লাভা হ্রদের মধ্যে একটি, যা দিনের পর দিন ফুটতে থাকে। রাতের আঁধারে এর্তা আলের লাভা যখন জ্বলে ওঠে, তখন পুরো অঞ্চলটি সত্যিই "নরকের দ্বার" বলে মনে হয়।

চরম আবহাওয়া ও বিপদ

এই অঞ্চলে তাপমাত্রা প্রায় সারা বছরই ৪০-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে। পানির তীব্র স্বল্পতা, বিষাক্ত গ্যাস এবং কঠিন পরিবেশের কারণে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বসবাস-অযোগ্য স্থানগুলোর মধ্যে একটি।
এইসব চরম পরিস্থিতি সত্ত্বেও, প্রকৃতির এই অদ্ভুত রূপ দেখার জন্য প্রতি বছর বহু পর্যটক এখানে ছুটে আসেন। এটি ভূতত্ত্ববিদ, অভিযাত্রী এবং ফটোগ্রাফারদের কাছে এক স্বর্গভূমি।
ডানাকিল ডিপ্রেশন যেন প্রকৃতির তৈরি করা এক জীবন্ত গবেষণাগার। ভয়ংকর হলেও এর সৌন্দর্য যে কাউকে বিমোহিত করে। এখানেই বোঝা যায়, প্রকৃতি যেমন সুন্দর হতে পারে, তেমনি ভয়াবহও।
আপনি কি এই "নরকের দ্বার"-এ ঘুরে যেতে চাইবেন?

Post a Comment

THANKS FOR YOUR FEEDBACK

Previous Post Next Post
AJKER UPDATES