ত্রিপুরার বিধানসভা উপ নির্বাচনে জিতলেন মানিক সাহা। অষ্টম রাউন্ড শেষে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী Manik Saha এগিয়ে যান ছয় হাজারের বেশি ভোটে। Town Bardowali কেন্দ্র থেকে লড়াই করেন তিনি। তাঁর নিকটতম প্রতিদবন্ধী কংগ্রেসের Ashish Kumar Saha । সেই আসনেই জিতেছেন তিনি। ১৭ হাজার ১৮১ ভোটে হারিয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে। এই প্রথমবার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন তিনি। আর প্রথমবারই তাঁর মুখে জয়ের হাসি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আসন ধরে রাখতে হলে তাঁকে জিততেই হত। গত মাসে বিপ্লব দেবের ইস্তাফার পরই তাঁকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয়।
এদিন জেতার পরে ফের এলাকার মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মানিক সাহা। তিনি বলেন, “আমাদের আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে তার প্রতি ভরসা রেখেছেন এলাকার মানুষ। যারা কুৎসা করছিলেন তাদেরকে এই নির্বাচনে উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন তাঁরা। আমাদের দায়িত্ব বেড়ে গেল। আগামী নির্বাচনেও আমাদের জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে।”
এদিকে, আগরতলা কেন্দ্রে জিতেছেন Sudip Roy Barman। তিনি লড়াই করেন কংগ্রেসের হয়ে। আগে BJP দলে ছিলেন তিনি। এই বছরই তিনি BJP ছেড়ে যোগ দেন কংগ্রেসে। তাই আগরতলার বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন তিনি। এই কেন্দ্রেই তিনি লড়াই করছেন। ভোটের আগেই আক্রান্ত হন তিনি। বিপ্লব দেবের মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ছিলেন তিনি। বিপ্লব দেবের সঙ্গে ঝামেলার জেরে তিনি ফিরে আসেন তাঁর পুরনো দল কংগ্রেসে। উপনির্বাচনে জেতা তাঁর কাছে ছিল চ্যালেঞ্জের। শেষ হাসি হাসলেন সুদীপ রায় বর্মণ। ভোটের দিন ত্রিপুরা জুড়ে সন্ত্রাস হয় বলে দাবি করেন এই কংগ্রেস নেতা। একই অভিযোগ করেন তৃণমূলের পান্না দেবও।
গত ২৩ তারিখ ভোট গ্রহণ করা হয় ত্রিপুরার চারটি আসনে। Town Bardowali ছাড়াও ভোট হয় আগরতলা, সুরমা এবং যুবরাজনগর কেন্দ্রেও । ওই তিনটি আসনেও এগিয়ে BJP। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ২২ জন প্রার্থী। চারটি কেন্দ্রের ২২১টি ভোটকেন্দ্র করা হয়। এর মধ্যে ৭৩টিকে স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সেদিন আগরতলা, সুরমা এলাকার মত বড়দোয়ালি কেন্দ্রেও শাসক দল ব্যাপক স্নত্রাস করে বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। যদিও সন্ত্রাস, ভোটারদের আটকানোর অভিযোগ উড়িয়ে দেয় BJP। ত্রিপুরার নির্বাচন কমিশনও জানিয়েছিল যে ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ ভাবে।
তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক বলেন, “এটা সন্ত্রাসের জয়। মানুষকে তাঁর নিজের ভোট দিতে দেওয়া হয় নি। তবে আমাদের লড়াই চলবে এই রাজ্যের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য।”