|
অসহায় বাবা বাড়ি বিক্রি করে ছেলের পড়াশোনার খরচ জুগিয়েছিলেন, ছেলে আজ IAS অফিসার
বিজ্ঞাপন যেকোনো প্রকার গাড়ীর ইন্সুরেন্স এর জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের ঠিকানা : SHUBHIT COMMUNICATION পুরাতন শিব থলি রোড, কুমারঘাট ঊনকোটি ত্রিপুরা WHATSAPP - 9774830971 এই নাম্বারে।

অসহায় বাবা বাড়ি বিক্রি করে ছেলের পড়াশোনার খরচ জুগিয়েছিলেন, ছেলে আজ IAS অফিসার


সন্তানের জীবনে মা বাবার থেকে বেশি অবদান হয়তো আর কারো থাকে না। ছেলের ভালোর জন্য করতে পারেন না এমন কাজ হয়তো এই দুনিয়ায় নেই। ছোট ছোট আবদার গুলো সবসময় পূরণ করেন তারা। এমনকি নিজেদের জী’বন বা’জি রেখে সন্তানের বড় বড় আবদার গুলো পূরণ করতে সর্বদা তৎপর পিতা মাতা। তাদের আশী’র্বাদ থাকলে যেকোনো সন্তান তার ভবিষ্যতে অবশ্যই সাফল্য অর্জন করবে তার প্রমাণ এবারের ইউপিএসসি পরীক্ষা।

বাবা পেট্রলপাম্পে কর্মরত। ছেলের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে পড়াশোনার খরচ যোগাতে বিক্রি করে দিতে হয়েছিল মাথার ছাদ টুকু ও। শুধুমাত্র ছেলেকে ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠা করতে এমনই এক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন এক দরি’দ্র পিতা। শুধু চেয়েছিলেন, ছেলেকে যেন কখনো এমন অনি’শ্চয়তার মধ্যে দিন না কাটাতে হয়। তবে আজ তার সেই বাড়ি বিক্রি করে সংসার চালানোর জন্য কোন আফ’সোস হয়না।
কারণ আজ তার ছেলে সু-প্রতিষ্ঠিত। ইউ পি এস সি পরীক্ষায় ৯৩তম স্থানটি তার ছেলের।গত মঙ্গলবার সিভিল সার্ভিস এর রেজাল্ট বেরিয়েছে। এবার এর ফলাফল দেখে সকলে বেশ খুশি। রাহুল-মোদী নামক এক ব্যক্তি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ৪২০ স্থানে রয়েছে, এই নিয়েও তোলপাড় হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। তাদের মধ্যেই রয়েছে প্রদীপ সিং। বহু ক’ষ্টের মধ্যে পড়াশোনা করেও আজ ইউপিএসসি পরীক্ষায় সাফল্য।

ছোট থেকে আই এ এস অফিসার হওয়ার শখ প্রদীপের। কিন্তু দারি’দ্রতার কারণে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার মতো খরচ যোগাতে পারতেন না তার বাবা। অবশেষে বি’ক্রি করে দিতে হয় বাড়ি। পেট্রোল পাম্পে কাজ নিতে হয় তার বাবাকে। দারি’দ্রতার কোন ছাপ পড়তে দেননি ছেলের পড়াশোনায়।প্রদীপের বাবা প্রদীপকে পড়াশোনার জন্য দিল্লি পাঠান। প্রদীপ যেখানে কোচিংয়ে পড়তো সেখানে তার ফি বাবদ দিতে হতো দেড় লক্ষ টাকা। একদিকে ছেলের স্বপ্ন পূরণ অন্যদিকে চ’রম দারি’দ্রতা। এই দুইয়ের মধ্যে ছেলের স্বপ্ন পূরণ কে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন পেট্রলপাম্পে কর্মরত এক পিতা। ছেলের পড়াশোনায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে টাকা পাঠাতেন তিনি। ভিন রাজ্যে থাকে আনুষ’ঙ্গিক খরচ রয়েছে বেশি। তবে আজ তার ছেলে আই এ এস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে। খুশি হয়েছে পুরো পরিবার। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সাফল্যের প্রশং’সায় তোলপাড়।

Post a Comment

THANKS FOR YOUR FEEDBACK

Previous Post Next Post
প্রতি মুহূর্তের নিউজ, আপডেট, বিশ্লেষণ যদি জানতে হয় তাহলে ফলো করুন আজকের আপডেটস হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল।