মানুষের শরীর ও মন সুস্থ না থাকলে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এই লক্ষ্যেই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব, সুস্থ কৈশোর অভিযানের সূচনা হয়েছিল। ইতিমধ্যে সফলভাবে এই অভিযানের তিনটি পর্যায়ের সমাপ্তি হয়েছে। আজ থেকে চতুর্থ অভিযানের সূচনা হলো। আজ সারুমে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব, সুস্থ কৈশোর অভিযানের চতুর্থ পর্যায়ের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই অভিযান সুস্থ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিচ্ছে। রাজ্যের ১২ লক্ষ শিশুকে এই অভিযানের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বাল্য বিবাহ ও কৈশোরকালীন গর্ভাবস্থা রোধে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় বালিকামঞ্চের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন। উল্লেখ্য, সাব্রুমের দক্ষিণী টাউনহলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর, শিক্ষা দপ্তর ও সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী কয়েকজন ছাত্রীকে কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কয়েকজন ছাত্রীকে টিকাও দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সারুম নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন রমা পোদ্দার দে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব ড. দেবাশিষ বসু, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি শুভাশিষ দাস, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা. শুভাশিষ দেববর্মা, পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক দপ্তরের অধিকর্তা ডা. রাধা দেববর্মা, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা সাজু বাহিদ এ, দক্ষিণ জেলার এসপি কুলবন্ত সিং, দক্ষিণ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. সুব্রত দাস প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ শিশুদের নিয়মিত টিকাকরণ নিয়ে প্রচার পুস্তিকার আবরন উন্মোচন করেন।
এদিন সারুম সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা সাব্রুম নগর পঞ্চায়েতের কনফারেন্স হলে জেলা ও মহকুমাস্তরের আধিকারিকদের সাথে এক পর্যালোচনা বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত দপ্তরের সচিব, অধিকর্তা, আধিকারিকদের কাছ থেকে জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজগুলি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জেলায় গৃহীত উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেন। উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণে মুখ্যমন্ত্রী আধিকারিকদের যেকোন কর্মসূচির ক্ষেত্রে ফিল্ড ভিজিটের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।