মন্দির, গুরুদ্বারে ধর্মীয় সঙ্গীত গাইতেন৷ সেখান থেকে অযোধ্যার ছেলে ঋষি সিং আজ ইন্ডিয়ান আইডল বিজয়ী৷ রিয়্যালিটি শো-এর ত্রয়োদশ মরশুমের জয়ী ১৯ বছর বয়সি এই কিশোর কোনওদিন প্রথাগত তালিম পাননি৷ কিন্তু সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখা বন্ধ করেননি দেহরাদুনে অ্যাভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট পাঠরত এই ছাত্র৷ বিজয়ী হয়ে আজ তাঁর নামের পাশে ২৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার এবং একটা গাড়ি৷ কলকাতার দেবস্মিতা রায় এবং জম্মুর চিরাগ কোতওয়ালকে টেক্কা দিয়ে সেরার শিরোপা পাওয়া ঋষি ছোট থেকেই গান করেন৷ তবে ইন্ডিয়ান আইডলে আসার আগে কীর্তন ছাড়া অন্য গান বিশেষ কিছু গাননি৷
ইন্ডিয়ান আইডলেই প্রথম তিনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলিউডের ছবির গান গাইলেন৷ এখানে আসার আগে স্থানীয় কিছু প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন নিজের দক্ষতায় শান দেওয়ার জন্য৷ প্রতিযোগিতার বিচারকের আসনে ছিলেন বিশাল দাদলানী, নেহা কক্কর এবং হিমেশ রেশম্মিয়া৷ তাঁদের সামনে প্রথম থেকেই বাহবা কুড়িয়েছেন ঋষি সিং৷ নবীন শিল্পী জানিয়েছেন তিনি ধীরে ধীরে পেশাদার শিল্পী হয়ে ওঠার খুঁটিনাটি শিখেছেন এই প্রতিযোগিতার মঞ্চেই৷ গত বছর সেপ্টেম্বরে ইন্ডিয়ান আইডল ১৩ মুক্তির আগেই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর প্রথম সিঙ্গল ‘ইলতেজা মেরি’৷
ইন্ডিয়ান আইডলের এক পর্বে ঋষি জানান তিনি দত্তক সন্তান৷ অযোধ্যার বাসিন্দা সরকারি কর্মী রাজেন্দ্র সিং এবং তাঁর গৃহবধূ স্ত্রী অঞ্জলির তিনি দত্তক পুত্র৷ ঋষি বলেন, ‘আমার নিজের উপর বিশ্বাস আছে৷ আমার বাবা মা, আত্মীয় পরিজন-সহ অনেকেই আমাকে অনুপ্রেরণা উৎসাহ দিয়েছেন৷ আমি ছকবাঁধা করতে চাইনি৷ গতধরা জীবন থেকে দূরেই থাকতে চেয়েছি৷ তা সত্ত্বেও আমার পরিবার গায়ক হওয়ার স্বপ্নে পাশে থেকেছে৷’’রিয়্যালিটি শোয়ের প্রতিযোগী হিসেবে যা শিখেছেন সবই কাজে লাগাতে চান আগামী জীবনের পাথেয় হিসেবে৷ এমনকি, পুরস্কারমূল্যও তিনি ব্যবহার করতে চান সঙ্গীতসাধনাতেই৷