ডিজিট্যাল পরিকাঠামো উন্নয়নের অঙ্গ হিসেবে আজ রাজ্যে ই-ক্যাবিনেট ব্যবস্থার সূচনা হয়েছে। সচিবালয়ের ক্যাবিনেট রুমে বোতাম টিপে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা ই-ক্যাবিনেট ব্যবস্থা চালু করেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের যে সমস্ত দপ্তর কাগজবিহীন অফিস চালানোর উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে ই-অফিস পদ্ধতিকে ১০০ শতাংশ কার্যকরী করেছে সে সমস্ত দপ্তরকে আজ সম্মাননা জানানো হয়েছে। সম্মাননাস্বরূপ প্রতিটি দপ্তরের অধিকর্তার হাতে শংসাপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা বলেন, ই-ক্যাবিনেট ব্যবস্থা চালু রাজ্যের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। উত্তরাখন্ড, উত্তরপ্রদেশ ও অরুণাচল প্রদেশের পর ত্রিপুরা হচ্ছে চতুর্থ রাজ্য যেখানে ই-ক্যাবিনেট ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে। উত্তরাখন্ড রাজ্যের ই-ক্যাবিনেট ব্যবস্থার অনুকরণে রাজ্যে ই-ক্যাবিনেট ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের রাজ্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ডিজিটাল ভারত’ প্রচার অভিযানকে সফল করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার সারা রাজ্যে ডিজিটাল পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সম্ভাব্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা সম্প্রসারণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। ডিজিটাইজেশনের অঙ্গ হিসেবে রাজ্য সরকার প্রতিটি দপ্তরে ই-অফিস ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই কর্মসূচি রূপায়ণে প্রতিটি দপ্তর মিশন মুডে কাজ করছে। ইতিমধ্যেই ৯৪টি দপ্তর/সংস্থার মধ্যে ৪১টি দপ্তর ই-অফিস পদ্ধতি ১০০ শতাংশ কার্যকরী করেছে। এটা সত্যিই একটা আনন্দের বিষয়। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান যুগ ডিজিটাইজেশনের যুগ। রাজ্য সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশন করার ফলে আগামী প্রজন্মের কাছে সবকিছুই সহজ হয়ে যাবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি এই সমস্ত কর্মসূচি এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠনেও সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যসচিব জে কে সিনহা বলেন, আজ রাজ্যের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। ত্রিপুরাও দেশের অন্যান্য রাজ্যের সাথে কদম মিলিয়ে ডিজিটাল ইন্ডিয়া গঠনের পথে এগিয়ে চলছে। রাজ্যেও ডিজিটাল কর্মসূচি অঙ্গ হিসেবে ই-ক্যাবিনেট ও ই-অফিস চালু করা হয়েছে। যার ফলস্বরূপ সুপ্রশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি প্রশাসনেও স্বচ্ছতা আসবে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদের সকল সদস্যগণ সহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান সচিব, সচিব ও অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
Tags:
Tripura