২০১৫ সালের আগে দেশের প্রত্যেক ব্যক্তিকে বীমার আওতায় আনার লক্ষ্য ধার্য করেছে কেন্দ্র সরকার এবং তারা দেশের প্রতিটি স্বীকৃত বীমা কোম্পানিকে এই লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছে। এক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে টিমমেইট বীমা মার্কেটিং সংস্থা এবং তারা গত পাঁচ বছরে বরাক উপত্যকার তিন জেলায় তিন লক্ষের বেশি লোককে জীবন বীমার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছেন। এবার তাদের লক্ষ্য, আগামী পাঁচ বছরে উপত্যকার ১০ লাখ লোককে বীমার আওতায় আনা।
তারা জানিয়েছেন শুধুমাত্র জীবনবীমা করানো নয়, এবিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে নানান অনুষ্ঠান আয়োজনকরছে টিমমেইট বীমা মার্কেটিং সংস্থা এবং এতে সাড়া দিয়ে অনেকে স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসে নিজেদের জীবনবীমার আওতায় আনছেন। সোমবার শিলচরে এক সচেতনতা অনুষ্ঠান আয়োজন করে টিমমেইটসংস্থা। এতে অংশ নেন সংস্থার তিনজন ডিরেক্টর, ধ্রুবজ্যোতি সেনগুপ্ত, সঞ্চিতা জিতা শর্মা শর্মা। এবং জাহিরুল ইসলাম মজুমদার,।
মেসেজিং ডিরেক্টর পঙ্কজ শর্মা সহ অন্যান্যরা। তারা জানান, টিমমেইট বিমা মার্কেটিংসংস্থা কেন্দ্রীয় সংস্থা আইআরডিএ-য়ের দ্বারা স্বীকৃত। তারা দেশের প্রতিটি স্বীকৃত বীমা কোম্পানির এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা সেতু গড়ে তোলার কাজ করছেন কারণ তাদের লক্ষ্য হচ্ছেকেন্দ্র সরকারের উদ্দেশ্য পূরণ করা। ধ্রুবজ্যোতি সেনগুপ্ত বলেন, 'শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের লোকেরা জীবনবীমা নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। এছাড়া সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সমাজের একটা বড় অংশকে ইতিমধ্যে নানান বীমার আওতায় এনেছে। তবে তারপরেও একটা বড় জায়গা খালি। সেটা পূরণ করতে আমরা কাজ করছি এবং এতে রয়েছে সরকারের স্বীকৃতি। সাধারণ মানুষকে সচেতন করা আমাদের সব প্রধান উদ্দেশ্য, তবে শুধুমাত্র সচেতনতা অনুষ্ঠান করেই আমরা থেমে থাকছি না। সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকের কাছাকাছি গিয়ে তাদের বীমা করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরে বরাক উপত্যকার অন্তত ১০ লক্ষ লোককে বিভিন্ন বীমার আওতায় আনা।