ঢাকা : শিয়রে কড়া নাড়ছে বাংলাদেশের লোকসভা নির্বাচন। পড়শি দেশে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। ভোটের বাজারে খবরের শিরোনামে বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া তারকা হিরো আলম। সমাজমাধ্যমে একজন কৌতুকশিল্পী হিসাবে রীতিমতো জনপ্রিয় আসরাফুল আলম ওরফে হিরো বিএনপির এক সাংসদের পদত্যাগের জেরে বগুড়ার শূন্য ঘোষিত জাতীয় সংসদের দুটি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওই দুটি আসন থেকে উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা করেছেন হিরো আলম। নির্দল প্রার্থী হিসাবে তিনি লড়বেন। একদা কেবল টিভির ব্যবসা করতেন। সেখানে নিজের নানা অঙ্গভঙ্গির ছোট ছোট ভিডিয়ো তৈরি করে ইউটিউবে ছাড়তেন। সেই করেই এখন তিনি তারকা। কখনও বেসুরো গান, কখনও অভিনয় আবার কখনও কবিতা পাঠ, নানা ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরে থাকেন হিরো। এবার তিনি ভোটের ময়দানে। জিতলেই হয়ে যাবেন সাংসদ।
ভোটে লড়াইয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির কাছেও গিয়েছিলেন হিরো। কিন্তু তারা কেউ হিরোকে প্রার্থী করতে চাননি। হিরো বলে দেন তিনি নির্দল হিসাবে লড়বেন। বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-8 (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে দুটি আসনেই হিরো আলম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মাহমুদ হাসান।
নিজের প্রতিক্রিয়ায় হিরো জানান, তিনি এবার দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আলম। করবেন। তার বাড়ি বগুড়া সদরে হওয়ায় তিনি এলাকাবাসীর দাবিতেই এই আসনে ভোটে লড়বেন। এছাড়া বগুড়া-৪ আসনে তিনি একবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বলেই এবারও সেখান থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। হিরো আলম বলেন, 'বগুড়া সদর ও কাহালু-নন্দীগ্রামের ভোটাররা যাতে মনঃক্ষুণ্ণ না হন সেই কারণেই আমি দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে আমি জিতব। হিরো বলেন, “আমি বড় বড় কথা বলব না, ভোটে জিতলেই এলাকার কাজ করে দেখিয়ে দেবো।' সাংসদ নির্বাচিত হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কমিয়ে দেবেন তিনি, জানান হিরো।
হিরো আলম সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা হিরো আলম এক সময় ডিশ সংযোগের ব্যবসা ও সিডি বিক্রি করতেন। শৈশবে চানাচুরও বিক্রি করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি মডেলিং পেশায় আসেন।
Tags:
News